বিশ্ব নদী দিবস: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তরী বাংলাদেশ’র বর্ণাঢ্য নৌ-র‌্যালী, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

লেখক:
প্রকাশ: ৭ মাস আগে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: তরী বাংলাদেশ’র উদ্যোগে বিশ্ব নদী দিবস ২০২৩ উপলক্ষে ব্্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীতে বর্ণাঢ্য নৌ-র‌্যালী, আলোচনা সভা এবং নদীভিত্তিক কবিতা নিয়ে ‘নদীবন্দনা’ আবৃত্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার দুপুর ৩ টায় জেলার আনন্দবাজার নৌঘাট থেকে দশটি নৌকার র‌্যালি নিয়ে ভাদুঘর বাজারের বটতলায় নদীর দখল-দূষণের বিরুদ্ধে গণসচেতনতার উদ্দেশে ‘তরী বাংলাদেশ’ এ আয়োজন করে।
আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক মীর (শিক্ষা ও প্রযুক্তি) বলেন, নদীর দখল-দূষণের বিরুদ্ধে সরকারের স্পষ্ট অবস্থান রয়েছে। যারা নদী এবং খাল দখল করে আছেন তাদেরকে উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য তরী বাংলাদেশ আজকে যে আয়োজন করেছে তাদেরকে আমরা সাধুবাদ জানাই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম শেখ বলেন, নদীর সাথে আমাদের শৈশব এবং দৈনন্দিন জীবনের ভালো থাকা মন্দ থাকা নির্ভর করছে। নদী ভালো থাকলে আমরা ভালো থাকবো, নদী ভালো না থাকলে আমরাও ভালো থাকবো না। তাই আমাদের সবাইকেই নদীকে দখল-দূষণ মুক্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এ এস এম শফিকুল্লাহ বলেন, নদী হচ্ছে আমাদের জীবনের মতো। আমরা যেমন ব্যথা পেলে কষ্ট পাই, তেমনি নদীও ব্যথা পেলে কষ্ট পায়। নদী ব্যথা পায় সে যদি দূষণের শিকার হয়, তার স্বাভাবিক গতি-প্রবাহে বাধার সৃষ্টি হয়। হয়তো নদী আমাদের মতো কথা বলতে পারে না, আমরা পারি। নদী যে একটি জীবন্ত সত্ত্বা তা সারা পৃথিবীতে আইন দ্বারা স্বীকৃত। তরী বাংলাদেশ’র আহবায়ক শামীম আহমেদ বলেন, আমরা নদী দখলের বিরুদ্ধে জনসচেতনতার উদ্দেশে কাজ করছি। নদী-খাল এবং জলাশয় ভরাট এবং দখলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশেনা রয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের যেমন সহযোগিতা প্রয়োজন তেমনি আমাদের জনগণেরও সচেতন হওয়া জরুরি। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন তরী বাংলাদেশ’র আহবায়ক কমিটির সদস্য খালেদা মুন্নী এবং অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন কবি জয়দুল হোসেন।
অতিথিদের বক্তব্য শেষে কবি ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক জয়দুল হোসেনের নদীভিত্তিক একক কবিতা নিয়ে ‘নদীবন্দনা’র আয়োজন করা হয়। একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন সাহিত্য একাডেমির সদস্য নুসরাত জাহান বুশরা, আঁখি, নোহা এবং পূর্ণিমা। এছাড়া তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের সদস্য অবন্তিকা চক্রবর্তী, প্রিয়া সাহা এবং ভাষা ও সাহিত্য ্অনুশীলন কেন্দ্রের সদস্য শাওন আলী প্রমূখ। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করেন সাহিত্য একাডেমি ও তিতাস আবৃত্তি সংগঠন।
তরী বাংলাদেশ’র আহবায়ক কমিটির সদস্য সোহেল আহাদের সঞ্চালনায় এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য সচিব ফয়েজুল কবির, সাহিত্য একাডেমির নির্বাহী সদস্য জামিনুর রহমান, খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার, সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন, বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলার আহবায়ক ফজলুর রহমান মুকুল, তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের সহকারি পরিচালক বাছির দুলাল প্রমূখ।