এক কাপ পালংশাক খাদ্য আঁশের দৈনিক চাহিদার ২০ শতাংশ পূরণ করে।

লেখক:
প্রকাশ: ২ মাস আগে

শীতে এখন বাজারে মিলছে পালংশাক। পালংশাকের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কোষের ক্ষয় রোধ করে শরীরকে তারুণ্যদীপ্ত ও সুস্থ সবল রাখে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। মস্তিষ্কের কোষগুলোকে সতেজ ও কর্মক্ষম রাখে। পাশাপাশি নানা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও রয়েছে এই শাকের।

 

যা আছে পালংশাকে: প্রতি ১০০ গ্রাম পালংশাকে রয়েছে ৯০ দশমিক ৮ গ্রাম পানি, ১ দশমিক ৮ গ্রাম খনিজ লবণ, শূন্য দশমিক ৬ গ্রাম আঁশ, ৩০ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ৩ দশমিক ৩ গ্রাম আমিষ, ২ দশমিক ১ গ্রাম শর্করা, ৭৯ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৮ দশমিক ৭ মিলিগ্রাম লোহা, ৭ হাজার ৯০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন এ এবং ১৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।

 

এক কাপ পালংশাক খাদ্য আঁশের দৈনিক চাহিদার ২০ শতাংশ পূরণ করে। ভিটামিন এ ও কে-এর দৈনিক চাহিদা মেটায়। এতে উচ্চমাত্রার আমিষ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, লোহা, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, ফলিক অ্যাসিড ও সেলেনিয়াম রয়েছে। এসব পুষ্টি উপাদান শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্মের জন্য অপরিহার্য।

 

পালংশাকের উপকারিতা: উচ্চমাত্রার ম্যাগনেশিয়াম থাকায় পালংশাক রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এই শাকে থাকা ভিটামিন ‘এ’ শরীরের রোগ প্রতিরোধী শ্বেতকণিকা বাড়ায় এবং দেহকে বিভিন্ন সংক্রমণ ও রোগ থেকে রক্ষা করে। পালংশাকে রয়েছে ১০টির বেশি ভিন্ন ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েড, যা জটিল রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। বিশেষ করে দেহের ক্ষতিকর মুক্তকণিকা নিষ্ক্রিয় করে ক্যানসার ঠেকায়। পালংশাকে লুটেনসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাইটোকেমিক্যাল থাকে, যা দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা বন্ধ করতে সাহায্য করে। পালংশাকের বিটা ক্যারোটিন চোখে ছানি পড়ার ঝুঁকি কমায়। পালংশাকে ভিটামিন ‘এ’ ত্বকের বাইরের স্তরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখে। এটা ত্বকের সমস্যা যেমন ব্রণ ও বলিরেখা কমায়। পালংশাকে রয়েছে উচ্চমাত্রার লোহা, যা দেহে অক্সিজেন উৎপাদনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া রয়েছে এমন অ্যাসিড, যা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যেমন ভিটামিন সি ও ই-কে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। পালংশাকে আছে নিওজেন্থিন, যা প্রদাহ নিরাময়ে ভূমিকা রাখে। যাদের অস্থিসন্ধিতে ব্যথা আছে, তারা প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এটি রাখতে পারেন। এই সবজির ফলিক অ্যাসিড হƒদযন্ত্র সুস্থ রাখে।

 

 

পালংশাকের ভিটামিন ও পুষ্টিমান বজায় রাখার উপায়: সেদ্ধ করে পানি ফেলবেন না। সেদ্ধ বা রান্নার চেয়ে স্টিম করা ভালো পদ্ধতি। এতে ভিটামিন ‘সি’ নষ্ট হয় না। শাক রান্নায় লেবুর রস যোগ করলে আরও ভালো।

 

ইমি /পথিক নিউজ