খুটাখালী কলেজ উদ্বোধন করলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ

লেখক:
প্রকাশ: ৩ সপ্তাহ আগে
খুটাখালী কলেজ উদ্বোধন করলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ

জেলা প্রতিনিধি: কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নে বহু প্রতীক্ষিত “খুটাখালী কলেজ”-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। কক্স-এইড ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজটি এ অঞ্চলের উচ্চশিক্ষার প্রসারে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জনাব সালাহউদ্দিন আহমেদ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি জনাব সালাহউদ্দিন আহমেদ কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উন্মোচন করেন। এরপর তিনি একটি গাছের চারা রোপণ করেন, যা কলেজের ভবিষ্যৎ পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উন্নয়নের প্রতীক হয়ে থাকবে। খুটাখালী কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি জনাব এস.এম. আবুল হোসাইন তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন:
জনাবা হাসিনা আহমেদ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিশিষ্ট সমাজসেবক। তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন কক্স-এইড ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জনাব আব্দুর রহিম নাবিল।

জনাব আতিকুর রহমান, চকরিয়া উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (UNO), যিনি প্রশাসনিক দক্ষতা ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জনাব এস.এম. আবুল হোসাইন, যিনি খুটাখালী কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হিসেবে শিক্ষার প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন জনাব কুতুবউদ্দিন তুষার, যিনি বাংলাদেশ সরকারের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং শিক্ষা ও আইন বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।

অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্য দেন কক্স-এইড ফাউন্ডেশনের সভাপতি জনাব আব্দুর রহিম নাবিল। তিনি বলেন, “খুটাখালী কলেজ শুধুমাত্র একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন। আমরা বিশ্বাস করি, এই প্রতিষ্ঠান ভবিষ্যতে জ্ঞানচর্চার এক উজ্জ্বল বাতিঘর হয়ে উঠবে।”

প্রধান অতিথি জনাব সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “শিক্ষা একটি জাতির মেরুদণ্ড। খুটাখালী কলেজ শিক্ষার প্রসারে একটি যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। তরুণ শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষার সুযোগ তৈরি করতে এই কলেজ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।”

বিশেষ অতিথি জনাবা হাসিনা আহমেদ বলেন, “শিক্ষা শুধু ব্যক্তির উন্নতি নয়, এটি পুরো সমাজ ও জাতির উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, খুটাখালী কলেজ একদিন দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।”

চকরিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব আতিকুর রহমান বলেন, “প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা খুটাখালী কলেজের উন্নয়নে সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান করবো। এটি শুধু খুটাখালীর নয়, পুরো চকরিয়া উপজেলার জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।”

প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের মূল্যবান সময় ও অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে কক্স-এইড ফাউন্ডেশন কর্তৃক তাদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে আয়োজকরা জানান, কলেজটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিগ্রি কলেজ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং একাডেমিক কার্যক্রম সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।

শিক্ষা একটি জাতির উন্নয়নের মূল ভিত্তি। খুটাখালী কলেজের প্রতিষ্ঠা এই অঞ্চলের শিক্ষার ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। ভবিষ্যতে এটি শুধু শিক্ষার আলো ছড়িয়েই দেবে না, বরং সমাজ গঠনের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে ভূমিকা রাখবে।

সকলের প্রত্যাশা, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির উন্নয়নে নেতৃত্ব দেবে এবং শিক্ষার আলোকে সমৃদ্ধ করবে সমগ্র অঞ্চলকে

  • খুটাখালী কলেজ উদ্বোধন করলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য
  • সালাউদ্দিন আহমেদ