চীনে ধারাবাহিকভাবে মূল্যহ্রাস হচ্ছে

লেখক:
প্রকাশ: ২ মাস আগে

চীনে ২০২৩ সালে পণ্যমূল্য কমেছে। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসেও পণ্যমূল্য কমেছে। আবাসন ও ঋণসংকটে সামগ্রিকভাবে জর্জর হচ্ছে চীনের অর্থনীতি। খবর: ইয়াহু ফাইন্যান্স।

 

বিশ্বের সব বড় অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতির হার বাড়তি হলেও একমাত্র চীনেই মূল্যহ্রাস হচ্ছে। জানুয়ারিতে গত বছরের সাপেক্ষে অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দেশটিতে মূল্যহ্রাস হয়েছে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ। এ নিয়ে টানা চার মাস দেশটিতে পণ্য ও সেবার মূল্যহ্রাস হয়েছে, যা গত ১৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন হার।

 

অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করছেন, এই মূল্যহ্রাসের কিছু মৌসুমি কারণ রয়েছে। মূল্যহ্রাসের প্রভাব পড়ছে মানুষের পারিবারিক আয়, করপোরেট আয় ও সরকারি করে।

 

 

ইনিস্টিটউট অব ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্সের তথ্য অনুসারে, এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে বেইজিংকে যথেষ্ট কাঠখড় পোড়াতে হবে। গত ২২ মাস ধরে চীনের খাদ্য ও জ্বালানিবহির্ভূত সিপিআই বা ভোক্তা মূল্যস্ফীতির হার ১ শতাংশের নিচে। ২০২৩ সালে দেশটির জিডিপি ডিফ্লেটর ছিল মাইনাস শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। এ হিসেবে দেশটির এই মূল্যহ্রাসের প্রবণতার পরিসর অনেক বড়।

 

আইআইএফের অর্থনীতিবিদরা গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এক নোটে লিখেছেন, চীনের শিল্প খাতের অতি সক্ষমতা ও আবাসন খাতের মন্দা এর মূল কারণ। পণ্যের দাম সেবার দামের চেয়ে বেশি হ্রাসের কারণ হলো শিল্পের অতি সক্ষমতা।

 

এছাড়া চীনের আবাসন খাতের চলমান সংকটের কারণে গৃহস্থালি পণ্য ও বাড়ির দাম কমেছে। গত বছর বাড়ির দাম সামগ্রিকভাবে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। বাড়ি বিক্রি কমে যাওয়ার কারণে গৃহস্থালিসামগ্রী, আসবাবপত্র ও গৃহ উন্নয়নসামগ্রীর দাম কমেছে।

 

আইআইএফের অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, বাজারে আরও মূল্যহ্রাসের পরিস্থিতি তৈরি হলে ভোক্তা ও বিনিয়োগকারীরা ব্যয় হ্রাস করবেন। মূল্যহ্রাসের কারণে বর্তমান বাজারমূল্যে জিডিপি কমে যাবে এবং ঋণ-জিডিপির অনুপাত বেড়ে যাবে, সেই সঙ্গে ঋণের বোঝা বেড়ে যাবে।

ইমি /পথিক নিউজ