মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ: দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালির বিজয় যখন আসন্ন, তখনই ঘটে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম হত্যাকাণ্ড।আলোকবর্তিকা হয়ে শোষিত আর বঞ্চিত বাঙালিকে মুক্তির পথে নিয়ে গিয়েছিলেন যারা, অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন নিজের প্রাণ, জাতির সেই সূর্যসন্তানদের স্মরণে_ শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে পথিক সাহিত্য আসরে উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও কবিতা পাঠ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টিএ রোডস্থ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি গ্রন্থাগারে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি, কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোকর্ণঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, রম্য লেখক, ঔপন্যাসিক পরিমল ভৌমিক। পথিক সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি, কবি লিটন হোসাইন জিহাদ-এর সভাপতিত্বে ও কিচিরমিচির সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ-এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভা ও কবিতা পাঠে অংশগ্রহণ করেন প্ল্যাটফর্ম সম্পাদক কবি হেলাল উদ্দিন হৃদয়, কবি ইউনুস সরকার, কবি গোলাম মোহাম্মদ মোস্তফা, কবি আল আমিন তুষার, সংস্কৃতি কর্মী মনিরুল ইসলাম প্রমুখ। সভায় বক্তাগণ বলেন শহিদ বুদ্ধিজীবীগণ আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। একাত্তরের ঘাতক পাকিস্তান বাহিনী ও তাদের দেশীয় সহযোগী রাজাকার, আল বদর, আল শামসরা যদি বুদ্ধিজীবীদের হত্যা না করত তাহলে আমাদের এই দেশ ও জাতি আরো বহু আগেই অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারত। বক্তাগণ নতুন প্রজন্মকে বুদ্ধিজীবীদের জীবন, কর্ম ও আত্মত্যাগ সম্পর্কে জানতে ও জানাতে সকলে প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ মুক্তিযোদ্ধা পাঠাগারে তার সম্পাদিত জাতীয় শিশু-কিশোর সাময়িকী কিচিরমিচির-এর জন্ম সংখ্যা প্রদান করেন।