ভিক্ষা করে চার সন্তানের লেখাপড়ার খরচ যোগাচ্ছেন ‘বাবা”

লেখক:
প্রকাশ: ১১ মাস আগে

মোঃ আব্দুল হান্নান: সন্তানকে সব চেয়ে বেশী আদর যত্ন করেন বাবা-মা।পৃথিবীতে সন্তানের জন্য বাবা মায়ের চেয়ে আপন আর কেউ নেই।সন্তানের সুখের জন্য এমন কোন কাজ নেই যা করতে পারে না বাবা মা।সন্তানের সন্তানের সুখ,শান্তি আর খুশির জন্য বড় বড় আত্মত্যাগ করতে রাজি থাকেন বাবা-মা। নিজেরা লেখাপড়া না জানলেও তারা চান সন্তান লেখাপড়া করে, মানুষের মতো মানুষ হোক।আর সন্তানের সুখের জন্য নিজে হাজার দুঃখ রাজি সহ্য করতেও রাজি থাকেন বাবা-মা। মোঃ লাল মিয়া।লেখাপড়া তার কপালে জুটেছেনি।ধন সম্পদও তেমন নেই তার।বয়সও প্রায় পঞ্চাষের কৌটায়।ছেলে-মেয়ের চিন্তায় নিজের দিকে নজর দেওয়ার সময় নেই তাঁর?ছেলে মেয়ের পড়াশোনা আর হোস্টেলের খরচ জোগানোর জন্য ধারে ধারে করেন ভিক্ষা।তিনি নাসিরনগর ও পাশের উপজেলা সরাইল সহ বিভিন্ন শহর গ্রামের এ মাথা থেকে ওমাথা ঘুরে বেড়ান ভিক্ষার ঝুলি হাতে নিয়ে। তিনি জানান তার ৩ মেয়ে ২ ছেলের মধ্যে ১ম মেয়ে মোছাঃ রোখসানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজে অনার্সে লেখাপড়া করছে।
২য় মেয়ে মোছা: সনজিদা আক্তার দশম শ্রেনীতে ও ৩য় মেয়ে মোছা: নূরন্নাহার ৯ম শ্রেণিতে ও,ছেলে ইউসুফ ৭ ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে।

মোঃ লাল মিয়া এত কষ্ট করে গ্রামে গ্রামে ভিক্ষা করে কেন আপনার ছেলে মেয়েদের পড়াশুনা করাচ্ছেন জানতে চাইল তিনি বলেন শিক্ষা ছাড়া জাতি অচল। শিক্ষিত না হলে তারা বড় হবে কি ভাবে? আমি চাইনা তারা আমার মত অশিক্ষিত হয়ে বড় হোক।

মোঃ লাল মিয়ার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার শ্রীঘর গ্রামে।তিনি একজন হত দরিদ্র ভিক্ষুক। তবে এত দরিদ্র তিনি ছিলেন না। ওই গ্রামেরই প্রভাবশালীরা তার জায়গা জমি অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক জবর দখল করে নিয়ে গেছে বলে দাবী করেন তিনি। তিনি বলেন আমি লেখাপড়া জানতাম না,তাই এমন হয়েছে। তাই শত দুঃখ কষ্ট সহ্য করে সন্তানদের লেখাপড়া করিয়ে মানুষের মত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। জীবন যুদ্ধে এত সহজে হার মানতে চাননা সংগ্রামী ভিক্ষুক কুদ্দুছ মিয়া