রমজানে সচিবদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

লেখক:
প্রকাশ: ২ মাস আগে

আসন্ন রমজান ও ঈদ সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, যানজট, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সচিবদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

 

গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সভাকক্ষে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত, সরবরাহ, মূল্য পরিস্থিতিসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। (বাসস)

 

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। রোজা ও ঈদকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বিশেষ নির্দেশনাগুলো তিনি তুলে ধরেন। এ প্রসঙ্গে নিজ নিজ বিভাগের পরিকল্পনা তুলে ধরেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা।

 

বৈঠকে পবিত্র রমজান মাসে কোনোভাবেই যাতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না পায়, সে সব বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে বাণিজ্য সচিবকে নির্দেশনা দেয়া হয়। মজুতদারি রোধে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ থাকা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না ঘটে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। ইফতার ও সাহরিতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

 

 

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবারের রোজায় দেশে অনেক বেশি খাদ্য ও নিত্যপণ্যের মজুত আছে। এছাড়া পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাজারে আছে। রোজার প্রস্তুতি আমরা যথাযথভাবে নিতে পেরেছি। যখন যার যা প্রয়োজন তা নিলে কারও কোনো সমস্যা হবে না। আমরা খুব ভালোভাবে রোজা ও ঈদ উদযাপন করতে পারব।

 

তিনি আরও বলেন, রোজার সময় নিত্যপণ্য যাতে মানুষের কাছে পৌঁছায়, সরবরাহ-শৃঙ্খল যাতে ঠিক থাকে, সেজন্য আমরা সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি। স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য সরকার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নিয়েছে। ওএমএস কর্মসূচি ও টিসিবির মাধ্যমে রোজা ও ঈদ ঘিরে দুই কিস্তিতে এবার খাদ্যপণ্য সরবরাহ করা হবে। তেল, চিনি, ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ ও খেঁজুর আমরা দু’বার করে এক কোটি মানুষকে দেব। রোজায় মানুষের কষ্ট লাঘবে প্রধানমন্ত্রীর এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য মুখ্য সচিব সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।

 

এছাড়া সহজে টিকিটপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা, মহাসড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা করা, ঈদের আগে রাস্তা ও সেতু সংস্কার, নৌপথে ফেরি বাড়ানো, অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ঠেকানো, আকাশপথে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাড়ানো এবং গার্মেন্টস ও পাটকল শ্রমিকদের বেতনের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।

 

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, শিল্প মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (সমন্বয় ও সংস্কার), সেতু বিভাগ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, ধর্ম মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

ইমি/পথিক নিউজ