স্কে্লরোডার্মায় এটি একটি অটোইমিউন রোগ

লেখক:
প্রকাশ: ২ মাস আগে

এই রোগে চামড়া ও শরীরের অন্যান্য স্থানে প্রদাহ হয় ও পরে তা পুরু হয়ে শক্ত হতে থাকে। আমাদের চামড়ার নিচে চর্বি আছে। চর্বিতে ক্ষুদ্র যেসব রক্তনালী আছে সেখানে প্রদাহ হয়। তারপর এক সময় কোলাজেন ফাইবার জমা হয় যা ডার্মিস পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। ডার্মিস হচ্ছে চামড়ার দ্বিতীয় স্তর।

 

 

এ রোগের সঠিক কারণ আজও পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি। এটি শরীরের সব জায়গায় না হয়ে নির্দিষ্ট কোন এক অংশে হতে পারে। তখন তাকে মরফিয়া বলে। রোগটি আবার শরীরের বিভিন্ন অংশকে একসাথে আক্রান্ত করতে পারে, তখন একে প্রগ্রেসিভ সিস্টেমিক স্কে¬রোসিস বলা হয়। নামগুলো অনেক পাঠকের কাছেই নতুন লাগবে। কারণ স্কে¬রোডার্মা খুব পরিচিত কোন অসুখ নয়।

 

 

 

মরফিয়া হলে শরীরের নির্দিষ্ট অংশ আক্রান্ত হয়। প্রথমে সে অংশ লাল হয়ে উঠে। তারপর শক্ত ও উজ্জ্বল হয়ে যায়। মরফিয়াতে আক্রান্ত স্থান ছাড়া শরীরের অন্য অংশে কোন সমস্যা হয়না।

 

প্রগ্রেসিভ সিস্টেমিক স্কে¬রোসিসে সারা শরীর আক্রান্ত হয়ে পড়ে। শরীরের সবজায়গার চামড়া শক্ত হয়ে যায়। চামড়ার স্বাভাবিক যে স্থিতিস্থাপকতা তা নষ্ট হয়ে যায়। অস্থিসন্ধি, ফুসফুস, হার্ট, কিডনী এবং পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা হয়। ‘রেনড ফেনোমেনন’ এবং অন্ননালীতে সমস্যা প্রগ্রেসিভ সিস্টেমিক স্ক্লেরোসিসে দেখা যায়।

স্কে¬রোডার্মা ডায়াগনসিসের জন্য ভালভাবে ইতিহাস নিতে হবে এবং শারীরিক পরীক্ষা করতে হবে। ল্যাবরেটরিতে টেষ্ট করে তেমন কিছু পাওয়া যায়না। তবে অন্য কোন সমস্যা বা রোগ আছে কিনা তা জানা যায়। এ অসুখের সঠিক চিকিৎসাও নেই। উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

ইমি/পথিক নিউজ

  • অটোইমিউন
  • রোগ
  • স্কে্লরোডার্মায়