গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

অনলাইন ডেক্স

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে রাসেল মিয়া (৪৩) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ বেগম শারমিন নিগার এই দণ্ডাদেশ দেন। পাশাপাশি তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাসেল কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের বিষ্ণুপুরের আবু তাহেরের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।

মামলায় জানা গেছে, ২০১৩ সালে কুটি ইউনিয়নের রামপুরের কুদ্দুস মিয়ার ছোট মেয়ে সুমা আক্তারের (২৫) সঙ্গে রাসেল মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মালামাল ও এক ভরি ওজনের সোনার চেইন দেওয়া হয়। এরপরও রাসেল বিভিন্ন সময় সুমাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে চাপ দিতেন।

এ নিয়ে সংসারে অশান্তি দেখা দিলে একপর্যায়ে সুমা বাবার বাড়িতে চলে যান। ২০১৫ সালের ৩১ মে রাসেলকে তালাক দেন সুমা। এর পর থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন রাসেল। ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাসেল এলোপাতাড়ি কুপিয়ে সুমাকে রক্তাক্ত করে পালিয়ে যান। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে সুমাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তবে মৃত্যুর আগে সুমা হামলাকারী হিসেবে রাসেলের নাম বলে যান।

ঘটনার পরদিন সুমার বাবা বাদী হয়ে কসবা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বেলাল হোসেন একই বছরের ডিসেম্বরে রাসেলকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সুমা তালাক দেওয়া ক্ষুব্ধ হয়ে রাসেল তাঁকে হত্যা করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম জানান সব সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আজ আদালত রাসেলকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। তবে হত্যাকাণ্ডের পর থেকে রাসেল পলাতক থাকায় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছাড়া আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

পথিক নিউজ/ মো:ইমন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *