ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: জামাত বিএনপির দুষদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে দুই পা হারিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সুমন। জীবন বাঁচাতে চিকিৎসার পেছনে সহায়-সম্পদ সব হারিয়েছেন। এখন তার শেষ আশ্রয় হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কাইতলি ছোট একটি রুমে। সেখানেও তার জীবন নিভু নিভু করছে।
অসহায় সুমন জানান ,আমি জেলা আওয়ামীলীগের দুর্দিনে রাজপথ কাপানো নেতাছিলাম। মিটিং মিছিল বলতেই আমি সবার সামনে থাকতাম। ২০১০ সালে সন্ত্রাসী উজ্ঝল সহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা আমাকে একদিন সকালে আক্রমন করে, আওয়ামী রাজনীতি থেকে চিরতরে মুছে ফেলতে চেয়েছিল আমাকে। আমার দুটো পা ভেঙ্গে ফেলে। শরীরে এমন কোন জায়গা নেই যেখানে আঘাত করেনি। আমি নিজে প্রথম শ্রেণির কন্টাক্টর ছিলাম। বাবার সম্পতি আমার টাকা সবই চিকিৎসায় ব্যয় করেছি। আজ বারো বছর যাবত বিছানায় শুয়া। স্ত্রীর সহযোগিতায় খেয়ে বেচে আছি । ডাক্তার বলেছে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করালে সুস্থ্য হয়ে উঠবো। মানবতার জননী শেখ হাসিনার কাছে আমার আবেদন তিনি যদি আমাকে সহযোগিতা করতেন তাহলে আবারো আওয়ামী রাজনীতির জন্য রক্ত দিতে পারতাম।
সুমন এর স্ত্রী রূপা আক্তার জানান, সুমন এর নিত্য সঙ্গি এখন বিছানা। প্রথম প্রথম আওয়মীলীগ নেতারা দেখতে আসতো এখন আর কেউ খুজ নেই না। মাঝে মাঝে এখন জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এস সি শফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক মেয়র হেলাল, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান লায়ন ফিরুজুর রহমান ওলিও, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ ভাই সহ বিপি খোকা খুজ খবর রাখেন।
সমুন ছিল আওয়ামীলীগ রাজনীতিতে সক্রিয় কর্মী, এবং জনপ্রিয় এক নেতা। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানাব তিনি যেন সুমনের প্রতি একটু নজর দেয়। তাকে সুস্থ্য করে তুলে।
চিকিৎসায় সহায় সম্পদ সব হারিয়েছেন। তাই এখন তার শেষ ভরসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটু মানবিক সহায়তা।