আখাউড়ায় মাঝিগাছা প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করণ ও গ্রামের উন্নয়নের দাবিতে জনসভা অনুষ্ঠিত। 

লেখক:
প্রকাশ: ১২ মাস আগে

আখাউড়া প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মাঝিগাছা মুকশত আলী মোল্লা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ ও খেলার মাঠ তৈরি সহ গ্রামের সার্বিক উন্নয়নের দাবিতে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে মাঝিগাছা গ্রামের মুকশত আলী মোল্লা বেসরকারি বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট আনিসুল হক এমপি। এলাকাবাসী জানান, মাঝিগাছা গ্রামের চতুর্পাশে প্রায় আড়াই কিলোমিটারের মধ্যে কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করা অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়তো। এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিগত ২০১৯ ইংরেজী সালে স্থানীয় সংসদ সদস্য আইন মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এ প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ করে দেন। কিন্তু বিদ্যালয়টির জাতীয়করণ না হওয়ায় শিক্ষা বিস্তারে অনেকটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এমত অবস্থায় এলাকার সকলের প্রাণের দাবি এই গ্রামের একমাত্র বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারিকরণের ব্যবস্থা করা। 

এছাড়াও গ্রামটিতে খেলাধুলা করার মত কোনপ্রকার মাঠ না থাকায় সব ধরণের খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রী যুবসমাজ সহ অন্যরা। এমত অবস্থায় মাঝিগাছা গ্রামের হযস্থল মেলার মাঠ টি কে মাটি ভরাট ও সংস্কার করে খেলার মাঠে পরিণত করার প্রস্তাব দেওয়া হয় এলাকা বাসীর পক্ষ থেকে। মঙ্গলবার মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে মনিয়ন্দ ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি স্থানে গণসংযোগ ও পথসভা করেন, এসময় স্থানীয় এলাকাবাসী গ্রামের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় টি কে জাতীয়করণ ও খেলার মাঠে তৈরীর দাবিতে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে আইনমন্ত্রী পথসভা কে জনসভায় পরিণত করেন। জনসভা থেকে এলাকাবাসী জানান, সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে এডভোকেট আনিসুল হক এমপি কে পুনরায় মন্ত্রী হিসেবে দেখতে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তারা। 

জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী বলেন, বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ ও খেলার মাঠ নির্মাণ এলাকাবাসীর দুটি দাবী দ্রুত সময়ের মধ্যেই তা বাস্তবায়ন করা হবে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে প্রায় শতাদিক ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়ন করছে আর এতে স্বেচ্ছাশ্রমে শিক্ষকতা করছেন ৫জন শিক্ষক শিক্ষিকা।