মোঃ ইলিয়াছ খান, ফরিদপুর
ফরিদপুরের সালথায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৩০ টি ঘরোয়ায় ভাঙচুর ও লুটপাট অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে এমন পুলিশ আহত হন এবং গুরুতর আহত করেন সাংবাদিকদের। ফরিদপুরের সালথায় যুবলীগ নেতা পক্ষ নিয়ে, এক থেকে দুই হাজার লোক প্রতিপক্ষের অন্তত ৩০ টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে এই অভিযোগ উঠেছে সালথা সরকারি কলেজের প্রভাষকের বিরুদ্ধে। আজ শনিবার 10ই মে সকালে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাঙ্গারিয়া গ্রামে এ হামলা চালানো হয়। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন এর সাথে সাংবাদিকদের কেও ছাড় দেয়া হয়নি তাদের উপরে চালু হয়েছে মর্মান্তিক ঘটনা। এই ঘটনায় দুই পক্ষেরই ১০ থেকে ১২ জন হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে। উজ্জ্বল মোল্লা স্থানীয় যুবলীগ নেতা ফরহাদ মোল্লার সমর্থক, আর ফারুক মোল্লা জালাল জালাল মাতুব্বর এর সমর্থক। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। অনুষ্ঠানের সদস্য নান্নুকে সমর্থক করেন স্থান ও বিএনপি নেতা ও সালথা সরকারি কলেজের বাংলা প্রভাষক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন জয়নাল। শনিবার সকালে প্রভাষক সাখাওয়াত হোসেন জয়নালের পাশে যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া। সোনাপুর ও রাঙ্গার দিয়ে বাঁশি গ্রাম থেকে দেশীয় অস্ত্র সহ শতাধিক লোক এনে রাঙ্গাইজিয়া গ্রামের জালাল মাতুব্বরের সমর্থকদের উপরে অতর্কিত হামলা চালায়। রাঙ্গার দিয়া জালাল মাতুবুরের সমর্থকদের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি ঘর ভাঙচুর ও লুটতরাজ করে। এ সময় আব্দুল হাই নামে এক ব্যক্তির একতলা বিল্ডিং এ আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ও দুটি ঘর একেবারে তছনছ করে দেয়া হয়। এছাড়াও রাঙ্গা আড্ডা গ্রামের খোকন মোল্লার তিনটি ঘর রোকন মোল্লার তিনটি ঘর মান্নান মোল্লার তিনটি ঘর রফিক মোল্লার দুইটি ঘর নুর ইসলামের দুটি ঘর মাসুদের একটি ঘর লিয়াকতের চারটি ঘর ইলিয়াসের দুটি ঘর ইংলিশের দুটি ঘর ওবায়দুর খান বসতঘরসহ অন্তত ৩০ টি বছর ঘর লুট করা হয়। হামলার সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির নারী ও শিশুরা ভয়ে দিক বৈদিক ছোটাছুটি করতে থাকে।
ক্ষতিগ্রস্ত মান্নান মাতুব্বর বলেন, আমি কোন রাজনীতি করি না, তবে ২০১৪ সালে বিএনপি নেত্রী শামা ওবায়েদ আমার বাড়িতে আসেন। এরপর থেকে যুবলীগ নেতার ফারহাদ ও তার সমর্থকরা আমার বাড়িতে কয়েক দফা হামলা চালিয়েছে আমার কয়েকটি গরু নিয়ে গেছে। শনিবার সকালে কোন কারণ ছাড়াই প্রভাষক জয়নাল ও যুবলীগ নেতা ফরহাদ খারদিয়া, রংরালকান্দি ও সোনাপুর থেকে শত শত লোক ভাড়া করে এনে অতর্কিতভাবে আমার ভাইসহ অন্তত ৪০ টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দেয় ও লুটতরাজ করে।। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
আব্দুল হাই বলেন আমার একতলা বাড়ির ভিতরে হামলাকারীরা আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় ভয়ে আমরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাই। শুধু আমার একার নয় আমার মত অন্তত ৪০ টি বাড়িতে আমরা চালানো হয়েছে গরু ছাগল ও মালামাল নগদ টাকা লুট করে নেয়া হয়েছে। তবে এই হামলার তবে হামলায় নিজের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন স্থানীয় বিএনপির প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত প্রভাষক শাখাওয়াত হোসেন জয়নাল বলেন হয়েছে আমার পাশের গ্রামে আকিকার মাংস ভাগাভাগি নিয়ে নান্নু মাতুব্বর ও জালাল মাতুব্বরের সমর্থকদের মধ্যে মারামারি জেরে ওই হামলা হয়েছে। অতএব এ হামলার সাথে আমি কোন ভাবে জড়িত না। এক প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন আমি বিএনপির কোন পদে নেই। তবে আমি বিএনপি করি। তাই যুবলীগ নেতাকে আমার সমর্থন দেওয়ার প্রশ্ন ওঠে না। সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আতাউর রহমান বলেন, কয়েক গ্রামের লোক এসে রাঙ্গাস দিয়া গ্রামের একটি পক্ষের লোকজনের বসতবাড়িতে হামলা চালায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এখন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।